প্রিন্ট এর তারিখঃ ২০ মে, ২০২৪ ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪

শ্রীনগরে মসজিদে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলার ঘটনার মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

কালাম শিকদার

স্টাফ রিপোর্টারঃ শ্রীনগরে মসজিদে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলার ঘটনার মামলার প্রধান আসামী কালাম শিকদারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার তাকে ঢাকার শাহজাহানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শ্রীনগর থানা পুলিশ তাকে থানা হাজতে নেয়।

জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার জুমআর নামাজের খুৎবার পূর্বে উপজেলার নতুনবাজার এলাকার সিপাই বাড়ী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ঈদগাহ মাঠের প্যান্ডেল তৈরির প্রস্তুতির বিষয়ে বর্তমান কমিটির লোকজন আলোচনা শুরু করে। এ সময় ওই এলাকার কালাম শিকদার তার লোকজন নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেস্টা করে এবং সে নিজে প্যান্ডেল তৈরি করবে বলে দাবী করে। এসময় বর্তমান কমিটির লোকজন প্রতিবাদ করলে কালাম শিকদার তার লোকজন নিয়ে হামলা করে।

আব্দুল খালেক সিপাহি,আমজাদ সিপাহী, মুনতাজ উদ্দিন সিপাহী,দ্বীন ইালাম, আজিজুল সিপাহী আহত হয়। তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এর পরদিন মোঃ জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কালাম শিকদারকে প্রধান আসামী করে এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম জানান, ১৯৮৫ সালে আমার বাবা মুন্সী মোহাম্মদ আলী সিপাই মসজিদটি নির্মাণ শুরু করেন। মসজিদটির মোতয়োল্লীও আমার বাবা। পরকর্তীতে ১৯৯৬ সালে কামার গাওয়ের গনি মুন্সী নামের একজন মসজিদের জায়গার মালিকানা দাবী করলে তার কাছ থেকেও জমি নেওয়া হয়। অপরদিকে হামলার সহযোগী মকবুল মুন্সীর বাবার নামও গনি মুন্সী হওয়ায় সে প্রচার করে তার বাবা মসজিদের জমি দাতা। প্রকৃতপক্ষে জমিদাতা গনি মুন্সী আর মকবুল মুন্সীর বাবা এক ব্যাক্তি নন। আমরা ঘটনার পরদিনই মামলা করেছি। ঘটনার ১১ দিন পর এসে তারা কাউন্টার মামলা করেছে।

আমাদের মামলার প্রধান আসামী কালাম শিকদার মসজিদের নাম পরিবর্তন করে উত্তর বালাশুর কেন্দ্রীয় নুরানী জামে মসজিদ লিখে মসজিদের ভিতরে একটি নামাজের ওয়াক্তের ঘরি স্থাপন করে। এর পর থেকেই বিশৃংখলা শুরু হয়। পরে থানায় বসে তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ সমাধান করে দেন। কিন্তু তারপরও কালাম শিকদার ও মকবুল মুন্সী একের পর এক উস্কানী দিয়ে যাচ্ছিল।

হামলায় আহত মোন্তাজদ্দিন সিপাই বলেন, তিনি এতেকাফে বসে ছিলেন। হামলাকারীরা তাকে মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। এটা কতবড় আঘাত বলতে পারেন?

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার এসআই অঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, কালাম শিকদারকে র‌্যাব আটক করার পর শ্রীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। মামলার কিছু আসামী জামিনে রয়েছে।

প্রিন্ট নিউজ