প্রিন্ট এর তারিখঃ ১৮ মে, ২০২৪ ১১:০১ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আলু ক্ষেতের পরিচর্যা কাজে নারী শ্রমিকদের কদর বাড়ছে

উপজেলার বিভিন্ন চকে আলু ক্ষেতের বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন স্থানীয় আলু চাষীরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন চকে আলু ক্ষেতের বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন স্থানীয় আলু চাষীরা। ক্ষেতের পরিচর্যায় প্রয়োজন অসংখ্য কৃষি শ্রমিক। এতে নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। আলুর আশানুরূপ ফলনের আশায় স্থানীয় কৃষকরা জমিতে পানি সেচ, কীটনাশক স্প্রে ও ফসলি জমিতে আগাছা-জঙ্গল অপসারণের কাজ করছেন। এসব কাজে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি মাঠে নারী শ্রমিকরাও কাজ করছেন। যদিও প্রারশ্রমিকের দিক থেকে বিবেচনায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। একজন নারী শ্রমিক সারাদিন কাজ করে মজুরী পাচ্ছেন ৪শত’ টাকা। সেখানে একজন পুরুষ শ্রমিক দৈনিক মজুরী ধরা হচ্ছে ৬শত’ টাকা।

দেখা গেছে, উপজেলার বীরতারা, তন্তর, আটপাড়া ও কুকুটিয়া ইউনিয়নের চক জুড়ে আলুর আবাদ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা ফসলের কাঙ্খিত ফলনের আশায় এসব জমির বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন। আগাছা-জঙ্গল অপসারণ, পানি সেচ ও ফসলকে রোগমুক্ত রাখতে জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এসব কাজে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আলু চাষের প্রথম দিকে টানা বৃষ্টিতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত খরচ করে ভুক্তভোগী চাষীরা পুনরায় জমিতে আলুবীজ বপণ করেন। এখন আলুর কাঙ্খিত ফলন পাওয়ার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতের বাড়তি যত্নে সার্বিক পরিচর্যা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টির দেখা পাওয়ায় জমিতে অর্থ ব্যয় করে পানি সেচ করতে হচ্ছে। নারী শ্রমিক দিয়ে আগাছা পরিস্কারের কাজ করানো হচ্ছে। এ কাজের জন্য প্রত্যেক নারীকে দু’বেলা খাবারসহ ৪শত’ টাকা মজুরী দেওয়া হচ্ছে। সেখানে একজন পুরুষ শ্রমিকে ৬শত’ টাকা দিতে হচ্ছে। তাই এসব কাজে নারী শ্রমিকের কদর বাড়ছে। উপজেলার সুফিগঞ্জ ও তন্তরে কয়েকজন নারী শ্রমিক জানান, তারা উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এ অঞ্চলে এসেছেন কাজ করতে। রুসদী, পুরারবাগ ও নওপাড়া বাজার এলাকায় তারা ভাড়া থাকছেন।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রমতে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ২৩শত’ হেক্টার জমিতে আলুর আবাদ হচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। আবাদি এসব কৃষি জমিতে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করছে।

প্রিন্ট নিউজ