প্রিন্ট এর তারিখঃ ১৭ মে, ২০২৪ ১০:৪২ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার এমপি-মন্ত্রীদের সাথে  আলোচনা করেন নোমান শামীম

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার এমপি-মন্ত্রীদের সাথে  আলোচনা করেন নোমান শামীম

প্রবাসী ডেস্কঃ বাংলাদেশকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী একটি কুচক্রীমহল  দেশের বিভিন্ন বিষয়ে  ভুল তথ্য প্রদান করছে বলে জানা গেছে। গত জুন মাসে সিনেটকে বিভ্রান্ত করে ভূল তথ্য ও উপাত্ত জানিয়ে রীতিমতো সিনেট শুনানী পর্যন্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ান গ্রীন পার্টির দুই সিনেটরকে দিয়ে এই কাজটি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ডঃ আবুল হাসনাত মিল্টন ও অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম অফিসিয়ালী দুই সিনেটরের শুনানীতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সেই শুনানীর বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশীদের পক্ষ্য থেকে ২৭ পৃষ্ঠার এক পিটিশন দায়ের করেন তিনি। উক্ত পিটিশনটি গ্রীন পার্টির দুই সিনেটরসহ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, পররাস্ট্রমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট অব হাউজ (সিনেট) ও স্পীকারের নিকট এই স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। জনগনের অর্থে চালিত সিনেট শুনানিতে একটি তৃতীয় দেশ বাংলাদেশের নামে মিথ্যা গুম ও মানবাধিকার সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রদান করা হয়, যা অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী হিসেবে ব্যাপক উদ্বেগ সৃস্টি করে কমিউনিটিতে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ডঃ আবুল হাসনাত মিল্টন, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম ও অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ সিদ্দিকীকে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে তিনটি ক্লোজ ডোর মিটিং-এ ডাকা হয়। এসময় তিনটি আলাদা আলাদা মিটিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিকিউরিটি ও ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান পিটার খলিল এমপি, ৪৫সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ পার্লামেন্টরি ফ্রেন্ডসের মেট বুরেল এমপি, সিনেটর টনি শেলডন। আরো আলোচনা হয়, রোহিঙ্গা ও সাম্প্রদায়িক সমস্যায় বাংলাদেশের অবস্থান, মানবাধিকার-গণতন্ত্র-গার্মেন্টস-নারীর ক্ষমতায়ন সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ্য থেকে বাংলাদেশের জন্য সহানুভুতিশীল অবস্থান ও বর্তমান উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করেন তারা। সেই সাথে এই উন্নয়ন ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখায় বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থানে আস্থা রাখার কথাও বলেন। সিনেট শুনানীর ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান জাতিসংঘের নীতির সাথে যাবে বলে নিশ্চয়তা দেন সংশ্লিষ্টরা। অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান শামিম ও সাজ্জাদ সিদ্দিকী প্রতিটি আলোচনার স্মারকলিপি গুরুত্বপূর্ণ তিন নেতার কাছে হস্তান্তর করেন। সেই সাথে অন্য দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো হস্তক্ষেপের বিরূপ মনোভাবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। সিকিউরিটি ও ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান পিটার খলিল এমপি, ৪৫সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ পার্লামেন্টরি ফ্রেন্ডসের মেট বুরেল এমপি, সিনেটর টনি শেলডনের পক্ষ থেকে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সমস্যা তারা বোঝেন, সেই সাথে জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে বর্তমান সরকারের দারুন সাফল্যে তারাও অংশিদার। একইসাথে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের বিষয়ে যেকোন কারনের বিরুদ্ধে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান। এসময়ে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হারিশ ভেলজী ও আয়শা আমজাদ উপস্থিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সাথে এই লেভেলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যপারে ও বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে এটিই ছিলো এযাবত কালের সবচেয়ে বড় বেসরকারী আলোচনা, যা ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।

প্রিন্ট নিউজ