প্রিন্ট এর তারিখঃ ১৬ মে, ২০২৪ ১৬:২২ অপরাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ০৬ জানুয়ারী, ২০২২

লক্ষ্মীপুরের গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাশেম জেহাদী

সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ৭নং বশিকপুর ইউনিয়নে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য পদে ফরম জমা দিতে গিয়ে মো. কামরুজ্জামান নামের এক প্রার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন। এই সময় তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আহত কামরুজ্জামান পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ও বাহিনীর প্রধান আবুল কাশেম জেহাদী ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। এরআগে বিকেলে সদর উপজেলার ৭নং বশিকপুরের নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত কাশেম জেহাদী বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে তিনি পরাজিত হয়েছেন। মো. কামরুজ্জামানের ভাষ্যমতে, তিনি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য পদে প্রধান শিক্ষক বেলালের কাছে তিনি দুপুরে ফরম কিনতে যান।প্রথমে তাকে ফরম না দিয়ে পোদ্দার বাজারে পাঠানো হয়। সেখানে কোন দোকানে ফরম না পেয়ে তিনি (কামরুজ্জামান) ফের বিদ্যালয় যান।

এই সময় তিনি ফরম কিনে নেন। এটি পূরণ করে জমা দিতে গেলে অনুসারীদের নিয়ে কাশেম জেহাদি এসে গুলি করার হুমকি দিয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি থাপ্পড়-ঘুষি মেরে আহত করা হয়।এতে তিনি ফরম জমা দিতে পারেননি। ভয়ে দ্রুত বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন।গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) শেষ সময় পর্যন্ত সদস্য পদে ৪জন পুরুষ ও একজন নারী ফরম জমা দিয়েছেন।

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম। আমার সামনে কোন ধরণের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বাইরে কোন কিছু হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই।

বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন বলেন, কাশেম জেহাদী ও তার অনুসারীরা কয়েকজনকে বিদ্যালয়ের ফরম জমা দিতে দেয়নি। তারা একজনকে মারধর করেছে। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে রাতে আবুল কাশেম জেহাদীর মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ইউএনও আমাকে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রিন্ট নিউজ