০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ ইং

করোনা মোকাবিলা করে এসডিজি অর্জনে বৈশ্বিক রোডম্যাপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক | যুগের কণ্ঠ .কম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ক্যাটাগরি : জাতীয়
পোস্টটি শেয়ার করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্টঃ করোনা পরিস্থিতি থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করে ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি বৈশ্বিক রোডম্যাপের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) টেকসই উন্নয়নের ওপর নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা প্রয়োজন-যাতে কেউ পেছনে পড়ে না থাকে।

এসডিজিএস অর্জন নিশ্চিত করতে যথাযথভাবে বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করা প্রয়োজন উল্লেখ করে সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা রাখেন।

তিনি বলেন, এই বৈশ্বিক মহামারি থেকে টেকসই উত্তরণের ওপরেই এখন এসডিজি এর সাফল্য নির্ভর করছে। এখন বিশ্বের সব স্থানে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা সময়ের দাবি এবং তা অতি জরুরি।

তিনি তার দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় বলেন, ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমাদের সম্পদের যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে, তা অবশ্যই কমাতে হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবনায় শেখ হাসিনা বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারির অভিঘাতের কারণে ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তার জন্য আমরা উদ্বিগ্ন।  অধিকন্তু, আমাদের পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীর ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার চতুর্থ প্রস্তাবনায় বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে- কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধার পদক্ষেপগুলো ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের বিপর্যয় বা দুর্যোগ মোকাবিলায় জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণকে পূর্ণতা দেবে।

সর্বশেষ প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে অবশ্যই পর্যবেক্ষণ জোরদার করা ও যান্ত্রিক সহায়তার ওপর আরো গুরুত্ব দিতে হবে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সমন্বয় বাড়ানো উচিৎ। জরুরি পরিস্থিতি ও বিপর্যয় মোকাবেলায় যথাযথ ও সময়োপযোগী সহায়তা পদক্ষেপ নিশ্চিত করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী মহামারি ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রতিটি স্তরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্তুতি বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।

২০৩০ এজেন্ডাকে একটি বৈশ্বিক চুক্তি আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সকলের অন্তর্ভুক্তিতে আমাদের টেকসই বৈশ্বিক উন্নয়নের একটি ব্লুপ্রিন্ট।

কোনও দেশ একা এই এজেন্ডা অর্জন করতে পারবে না। এই এজেন্ডা অর্জনে আমাদের বৈশ্বিক সহযোগিতা ও সংহতি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ডিকেড অব ডেলিভারি এবং অ্যাকশন অব দ্য এজেন্ডাতে প্রবেশ করলেও, লক্ষ্য এখনো দূরেই রয়ে গেছে।

এমনকি কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির আগেও অনেক দেশ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে ছিল না। এই মহামারি তাদের সেই পথ থেকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে।

কোভিড-১৯ বিশ্বকে হতাশ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বৈশ্বিক প্রাণঘাতী মহামারি বহু মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি এর কারণে অসংখ্য মানুষ তাদের জীবিকা হারিয়েছে। মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে ও ক্ষুধার্ত রয়েছে।

মহামারির কারণে শিক্ষারও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, বিশেষত শিশুদের শিক্ষার- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি এই মহামারিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের উন্নয়নের অর্জন ও এসডিজিএস অগ্রগতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে অ্যাডাপটেশন ও মিটিগেশন প্রচেষ্টায় পথিকৃত। আমরা সম্প্রতি একটি উচ্চাভিলাষী ও আধুনিক এসডিজি পেশ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবুজ উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জন, লবনাক্ততা সহিষ্ণুতা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দিয়ে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান গ্রহণ করেছি।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট-২০২১ এর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এসডিজি সূচকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে প্রথম পাঁচটি দ্রুততম অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশের মধ্যে অন্যতম এবং জিডিপিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম। জাতিসংঘ এ বছর বাংলাদেশকে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের স্বীকৃতি দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা আমাদের জাতীয় পরিকল্পনা ও নীতিমালায় এজেন্ডা-২০৩০ অঙ্গীভূত করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এসডিজি বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আমরা ইতোমধ্যে ২০১৭ এবং ২০২০ সালে দুটি ভিএনআর জমা দিয়েছি। আমরা আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নির্দিষ্ট খাত ভিত্তিক মূল্যায়ন এবং সমন্বিত এসডিজি করেছি। আমাদের দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনাও এসডিজির সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পদক্ষেপের তথ্যও তুলে ধরেন। আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক সম্মেলনটির আয়োজন করে।

 

/ভো


Comments



বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের…

রবিবার, ০৭ জুন, ২০২০

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল…

রবিবার, ০৭ জুন, ২০২০

হাওড়ে ধান কেনার নামে…

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে…

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০

পদ্মায় ঘুরতে এসে প্রাণ…

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের…

শনিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পদ্মাসেতুর ২১তম স্প্যান…

সোমবার, ০৬ জানুয়ারী, ২০২০

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে…

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

হলমার্কের জমির মালিক…

রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০

আকাশে ‘১০০’ এঁকে বঙ্গবন্ধুকে…

বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১

কোমায় থাকা সেনা কর্মকর্তাকে…

শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

জাতীয় শোক দিবসে সর্ব…

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারের…

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

লৌহজংয়ে আওয়ামীলীগের…

শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২১

৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে…

মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

মহামরীতেও পুরোদমে চলছে…

শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

তুরস্ক ও মিশর থেকে চট্টগ্রাম…

মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর, ২০১৯

পদ্মা সেতুর কাজ দেখতে…

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

দেশে করোনা শনাক্তের…

সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

শ্রীনগরে নারী দিবস উপলক্ষে…

সোমবার, ০৮ মার্চ, ২০২১

জরিপ

এবারের বিশ্ব কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ কয়টি ম্যাচে জয় লাভ করবে ?

৩ টি ?
৪ টি ?
৫ টি ?
নাকি ১ টি ?
নাকি ১ টি ও ম্যাচে জয় লাভ করবে না ?

নামাজের সময়সূচি

২৯ মার্চ, ২০২৪
ফজর৫:২০
জোহর১২:১২
আসর৪:৪৩
মাগরিব৫:৪৯
ইশা৭:০১
সূর্যাস্ত : ৫:৪৯সূর্যোদয় : ৬:৩৭