ব্যর্থতার দায়ে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি নগরের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন ও অবিলম্বে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করুন। ”
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খিলগাঁও তালতলা মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কিছু করা যাবে না’ সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির এমন বক্তব্য নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়। বিনা বিচারে মানুষকে আটক রাখা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। বিশ্বের সাতটি মানবাধিকার সংগঠন এসব রিপোর্ট দিচ্ছে। এতে কি ইমেজ নষ্ট হয় না?”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন।
তাবিথ আউয়াল তার বক্তব্যে বলেন, “দেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রহীন দিন ঘনিয়ে এসেছে, শীঘ্রই এ সরকারের পতন হবে।”
তাবিথ আউয়াল আরো বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন, লাঞ্চিত হচ্ছেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীরা জেলে বন্দি আছেন। এই আইনের মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মুক্ত চিন্তার লেখক মুশতাক আহমেদ কারাগারে মারা গেছেন। আজ পর্যন্ত বলা হয়নি তার অপরাধটা কী ছিল?”
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।
এর আগে পাঁচ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, শাহাদাত হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং ইশরাক হোসেন বক্তব্য রাখেন।