এক শিশুকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর ‘সশ্রম কারাদণ্ড’ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
এরআগে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের এক মামলায় দুটি ধারায় এক শিশুকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর ‘সশ্রম কারাদণ্ড’ দেন যশোরের শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২।
দেখা যায়, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৪ ও ৫ ধারায় এক মামলায় বাগেরহাটের একটি গ্রামের ওই শিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিচারিক আদালতে প্রমাণিত হয়।
ওই দুই ধারায় শিশুটিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৪(বি) ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন যশোরের শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক মাহমুদা খাতুন।
রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা শিশুটি গত বছর জেল আপিল করেন, যা শুনানির জন্য ওঠে।
ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, আইনে শিশুকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান নেই। বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট বিচারক মাহমুদা খাতুনকে ওই বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।