মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে (১৪) সঙ্গবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারী) গজারিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে নতুন চরচাষী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরী স্থানীয় বসুরচর পাঁচগাও উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বছর ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো। করোনার কারনে এখোন তার লিখাপড়া বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে তার ভাবি নাছরিন আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মামাতো বোন বসত ঘরের সামনে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলার সময় স্থানীয় একই এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে আকাশ (১৮) ও পারভেজ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিকুর রহমানের পরিত্যক্ত বসতভিটায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে।
তাদের হাত থেকে বাঁচতে চিৎকার করে ধর্ষিতা কিশোরী। তবে পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়িতে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজার কারণে সে শব্দ পরিবারের লোকজন শুনতে পায়নি। ধর্ষণ শেষে তাকে বসতভিটায় ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরবর্তীতে তার জ্ঞান ফিরে আসলে সে কোন রকমে তার বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাধা দেয় ধর্ষক আকাশ ও সালাউদ্দিনসহ তাদের স্বজনরা। এ সময় তাদের মারধরের শিকার হন ওই ছাত্রীর মা, বড় বোন ও দুলাভাই।
ওই ছাত্রীর মা ও মামলার বাদী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ধর্ষক ও তাদের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরর্বতীতে তার বড় মেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গজারিয়া থানার এসআই মো: মাঈন উদ্দিন জানান, ফোন পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
এ সম্পর্কে জানতে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রইছ উদ্দিন জানান, সঙ্গবদ্ধ একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে।