বোনকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় বরিশালে ভাইয়ের হাতের রগ কেটে দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী এক ছাত্রদল নেতা। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর নতুন বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় জুবায়দাল হাসান প্রিন্সকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা যায়, প্রিন্স নতুন বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবুল বাশার বাদশার ছেলে এবং ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত।
তার মামা আবু বক্কর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনের মেয়েকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো ১৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সি হারুনের ছেলে আরাফাত হোসেন আকাশ। বিষয়টি জানতে পেরে আমার ভাগ্নে প্রিন্স বেশ কয়েকবার আকাশকে নিষেধ করলেও সে তা শুনেনি।
এর জের ধরে শনিবার রাতে নতুন বাজার চৌরাস্থা সংলগ্ন বানারীপাড়া বাস টার্মিনালের সামনে আকাশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রিন্স এর বাম হাতের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়।
অবশ্য স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, আকাশ ও প্রিন্স এর মধ্যে প্রেম নিয়ে বিরোধ রয়েছে। স্থানীয় একটি মেয়েকে তারা দু’জনেই ভালোবাসে। এ নিয়ে ছয় মাস আগে তাদের মধ্যে আরো একবার মারামারি হয়েছিলো।
শেবাচিম হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতের প্রিন্সের হাতের রগ ও হাড় কেটে গেছে। তার ওই হাতটি রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। এজন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, হামলার কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে প্রিন্সকে হত্যার মিশন ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা প্রিন্স দোকানে বসা ছিলো। সে অবস্থায় পেছন থেকে এসে ওর ঘাড়ে কোপ দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অল্পতে সে বেঁচে যায়।
ওসি আরও বলেন, আকাশের বাবা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আকাশ নিজেও ভালোনা। ওকে গ্রেফতারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তাছাড়া এই ঘটনায় আহতের পরিবারকে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।