প্রিন্ট এর তারিখঃ ২০ মে, ২০২৪ ১০:০৪ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ০৫ মার্চ, ২০২৪

শ্রীনগরে একটি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বারান্দায় পাঠদান

বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বারান্দায় পাঠদান

স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বারান্দায় চলছে পাঠদান। ২২নং খৈয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে বারান্দায় বসিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে লেখা-পড়ায় বিঘœ ঘটার পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, উপজেলার ২২নং খৈয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯৪ সালে নির্মিত জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ সাবেক ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তার পাশেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১১-২০১২ সালে নির্মিত একতলা ভবনে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ভবনটিতে শিক্ষক অফিস বাদে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে মাত্র ২টি। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর পরিমাণ ১৯৭ জন। মোট শিক্ষক ৬ জন। শিশু থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর পাঠদানে প্রয়োজন কমপক্ষে ৬টি শ্রেণিকক্ষ। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকার ফলে ভবনটির সরু বারান্দায় চেয়ার-টেবিল ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ রেখে তার মধ্যেই পাঠদান করাতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে বসে ইংরেজি ক্লাস করতে। এ সময় কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে বসে লেখাপড়া করতে তাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। পাশেই পরিত্যক্ত ভবনটি ঘুরে দেখা যায়, ভবনের স্তম্ভে (পিলার) ফাটল ধরেছে। দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন অংশে পলেস্তার(আস্তর) খসে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরিত্যক্ত শ্রেনিকক্ষের ভিমগুলো ধসে পড়া আশঙ্কায় নিচ থেকে কাঠের খুঁটি দিয়ে ঠিকা দিয়ে রেখেছেন স্কুল কতৃপক্ষ। আখি আক্তার নামে একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বারান্দাতেই পাঠদান করাতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে শীত ও বৃষ্টি মৌসুমে শিশুদের বারান্দায় বসিয়ে ক্লাস করানো প্রায় অসম্ভব। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিব উন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই এ ব্যাপারে অবগত আছেন। পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর নতুন ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে হচ্ছে। এখানে মাত্র ২টি শ্রেণিকক্ষ আছে। বারান্দায় বসলে আবার হাঁটা চলাফেরায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ থাকা সর্তেও আমাদের বাচ্চারা ঠিকঠাকমত খেলাধুলা করতে পারছেনা। তাও বর্ষার ৪/৫ মাস মাঠটি পানিতে ডুবে থাকে। এছাড়া বিদ্যালয় ভবনের সামনে যেটুকু জায়গা আছে তাও খানাখন্দে ভরা। এই অবস্থায় হাঁটতে গিয়ে শিশুরা পড়ে আহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্টজনদের সাথে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। শ্রীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মতিন জানান, এ ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। ধারনা করছি টেন্ডার হয়ে গেলে দ্রুত বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতনদের সাথেও আলোচনা হচ্ছে।

প্রিন্ট নিউজ