প্রিন্ট এর তারিখঃ ২০ মে, ২০২৪ ১৬:০২ অপরাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

সিরাজদিখানে ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

লম্পট হালিম (৫০)

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩য় শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত লম্পট উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আলী আক্কাসের শ্বশুর মৃত রঙ্গু ছৈয়ালের বাড়ির ভাড়াটিয়া হালিম (৫০)। সম্প্রতি ধর্ষন চেষ্টার ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে জানাজানি হলে গত শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ও সাবেক ইউপি সদস্য আলী আক্কাস ঘরোয়া সালিশের মাধ্যমে ওই লম্পটকে মারধরের পর পালিয়ে যেতে সহযোগীতা মর্মে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর লম্পট হালিম গা ঢাকা দিয়েছে।

ধর্ষন চেষ্টার শিকার ৩য় শ্রেনী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর বড়বোন ভুক্তভোগী বলেন আমার বোন প্রতিদিনের মতো খেলাধুলা করতে গেলে আমার বোন ও তার বান্ধবী  হালিমের  বাসায় গেলে আমার বোনকে হালিম তার ঘরে নিয়ে দরজা আটকে দেয়। আশপাশের মহিলারা বিষয়টি টের পেয়ে সবাইকে জানালে হালিম কে আটকে রাখা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন ধর্ষন চেষ্টার মতো এমন একটি গুরুত্বর বিষয় কি করে দুই ইউপি সদস্য অভিযুক্তকে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে মারধর করে এলাকা থেকে বের করে? তাদের উচিৎ ছিলো বিষয়টি পুলিশকে জানানো।  কোলা ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আলী আক্কাস হাওলাদারের মুঠোফোন  একাধিক বার কল করে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কোলা ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মুজিবর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমি সাবেক ইউপি সদস্য আলী আক্কাস হাওলাদারের ফোন পেয়ে সেখানে যাই। পরবর্তীতে মেয়েটির অভিভাবকদের কোন অভিযোগ না থাকায় আমি ২টা লাঠি দিয়ে বারি মারি। আমি আক্কাস ভাই ও জয়নাল ভাই মিলে মারধরের পর তাকে এলাকা ছাড়া করি।

এ বিষয়ে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচএম সাইফুল ইসলাম মিন্টুকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রিন্ট নিউজ