প্রিন্ট এর তারিখঃ ১০ মে, ২০২৪ ২০:১০ অপরাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪

মুন্সীগঞ্জে অটো চালককে খুনের মামলায় ৪ আসামীর মৃত্যুদন্ড

আসামী রুবেল (২৯), মো. রাজেন (২৫), হাসান শেখ (২২) ও আকরাম মোল্লাকে (২২) দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদন্ড আদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা এলাকায় অটোরিক্সা চালক আশরাফুল ইসলামকে (৩০) খুন করে অটো ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৪ আসামীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৪ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রীঃ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন উর্মি এই রায় দেন। আসামী রুবেল (২৯), মো. রাজেন (২৫), হাসান শেখ (২২) ও আকরাম মোল্লাকে (২২) দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড এছাড়া অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় দন্ডবিধির ৩৯৪ ধারায় যাবজ্জীবন স্বশ্রম ও ২০ হাজার করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। এছাড়া আসামী আমির বেপারী ও আবুল কালামকে ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সা কেনাবেচার সাথে জরিত থাকার অপরাধে ২ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার করে অর্থদন্ড করা হয়। মামলার অপর আসামী কাজল শেখকে ৪১১ ধারায় ৩ মাসের স্বশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। এই মামলা থেকে ইমরান হোসেন ও সবুজ শেখকে খালাস প্রদান করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া এলাকার অটো চালক আশরাফুল ইসলাম একই এলাকার শাহাদাত হোসেনের অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে আশরাফুল অটোটি নিয়ে বাহিরে যায়। ঐ দিন রাতে তাকে গলাকাটা অবস্থায় পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা বটতলা এলাকা থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। আশরাফুলকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের বাবা বাঘড়ার ছত্রভোগ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে লৌহজং থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী মো. রুবেল ও রাজেন শ্রীনগর উপজেলার মধ্য বাঘড়ার নাছির উদ্দিনের ছেলে। হাসান শেখ একই এলাকার মিলন শেখের ছেলে ও আকরাম মোল্লা সুরত আলীর ছেলে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে অটো চালিয়ে সংসার  চালাইতো।  ওকে মাত্র বিয়ে করাইছি। বিয়ের পর ওরা আমার ছেলেকে গলাকেটে নিশ্বংসভাবে হত্যা করে। আমার ৩ ছেলের মধ্যে আশরাফুল সবার বড় ছিল। ওর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।  আদালতের এ রায়ে আমি ও আমার পরিবার খুশি।

প্রিন্ট নিউজ