প্রিন্ট এর তারিখঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ১২ অক্টোবর, ২০২১

শ্রীনগরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ বিকিকিনি

বাঘড়া বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরবর্তী খেয়াঘাটে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মা ইলিশ বিকিকিনি

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরবর্তী খেয়াঘাটে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মা ইলিশ বিকিকিনি ও বহন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে ট্রলারে করে বাঘড়ার পদ্মার চর নামে পরিচিত ওই চরে অসংখ্য নারী-পুরুষকে ইলিশ আনতে যেতে দেখা গেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার মোবাইল কোর্টে আটককৃত জেলেদের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। মৎস্য অভিযান অব্যাহত থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অসাধু জেলেরা সুযোগ বুঝে ইলিশ শিকার করতে নদীতে নামছে অসাধু জেলেরা।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঘড়া বাজার সংলগ্ন পশ্চিম দিকে খোয়া ঘাটে ট্রলারে করে অনেক নারী পুরুষ চরের দিকে ছুটছেন ইলিশ আনতে। অনেকেই আবার ফিরছেন ইলিশ হাতে। দেখা গেছে, চরে ইলিশ সংরক্ষণের জন্য জেলেদের জন্য ট্রলারে করে ফরফের পাটা নেওয়া হচ্ছে। চরে মানুষ পারাপারের জন্য খেয়াঘাটে কয়েকটি ট্রলার লক্ষ্য করা গেছে।

বরফ বহনকারী এক ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি। চর থেকে আসা ইলিশ বহনকারী বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও এ বিষয়ে তারা কোনও কথা না বলে সটকে পরেন। 

একটি সূত্র জানায়, জেলেরা পদ্মার চরে অবস্থান করছে। সুযোগ বুঝে নদীতে নামছে। চর থেকে ইলিশ বিক্রি করছে। এর মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধমে যোগাযোগ করে বাঘড়া খেয়াঘাট, নয়াবাড়ি, কামারগাঁওসহ বিভিন্ন পয়েন্টে এসে মা ইলিশ হস্তান্তর করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই মূহুর্তের মধ্যে পালিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে যানা যায়, বাঘড়া ও ভাগ্যকুল এলাকার প্রায় ২ শতাধিক নৌকা ইলিশ ধরার জন্য চরে অবস্থান করছে। অনেক নারী পুরুষ চরে গিয়ে ইলিশ কিনে আনছে। জানা যায়, চরে ১ কেজি ওজনের মা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা করে। ১ কেজির নিচে ওজনের মা ইলিশ বিকিকিনি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে। 

বাঘড়া মৎস্য জীবি সমিটির সভাপতি তপন দাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানকার জেলেদের নিষেধ করা হয়েছে। আমার চোখে পড়লে নিষেধ করছি। তার পরেও গোপনে অনেকেই নদীতে ইলিশ ধরতে নামছে। মোবাইল কোর্টে আটককৃত জেলেদের আর্থিক জরিমানা করছেন। চোরে চুরি করলে কত দেখে রাখা যায়।

এ ব্যাপারে শ্রীনগর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সমীর কুমার বসাক জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। বরফ কল মালিকদের বলা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বরফকল বন্ধ রাখার জন্য। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অমান্য করার অপরাধে মৎস্য অভিযানে ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার মাধ্যমে আটককৃত জেলেদের কাছ থেকে জরিমানার ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে বলেন তিনি।

প্রিন্ট নিউজ