প্রিন্ট এর তারিখঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ২৬ জুন, ২০২১

শ্রীনগরে কাপড়ে পুথি ও নকশা করে বাড়তি আয়

কাপড়ে পুথি ও নকশা করে বাড়তি আয়

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: করোনাকালীন সময়ে বাড়িতে বসে বিভিন্ন প্রকার তৈরী কাপড়ে পুথি ও নকশার কারুকাজ করে বাড়তি আয় করছেন নারীরা। পাঞ্জাবী, শাড়ি, নকশী কাঁথাসহ অন্যান্য সব কাপড়ে ডিজাইনের কাজ করে আয়ের পাশাপাশি অবসর সময় পাড় করেন তারা। নানা ধরণের পুথি ও পাথর বসানোর মাধ্যমে এসব তৈরী পোষাকের সৌন্দর্য্য ফুঁটিয়ে তোলা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুর এলাকায় বসবাসকারী অনেক নারীকে দেখা গেছে তৈরী জামা-কাপড়ে এমন নান্দনিক কাজ করতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিখ্যাত আড়িয়াল বিল সংলগ্ন শ্রীনগরের উত্তর রাঢ়ীখাল খালপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আঙ্গিনায় বসে পাঞ্জাবীতে সুই ও সুতা দিয়ে পুথি ও পাথর বসানো কাজ করা হচ্ছে। পাশেই আরেক নারী জাল বুনানোর কাজ করছেন। নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তাদের শৈল্পীক কর্ম ফুঁটিয়ে তুলছেন।
এ সময় মনি বেগম (৪০) বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি কক্ষে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস তার। করোনা রোধে লকডাউনে স্বামীর কোনও কাজ নেই। ঈদকে সামনে রেখে বেশকিছু পাঞ্জাবীতে পুথি বসানোর কাজ হাতে নিয়েছেন তিনি। তাই সংসারের কাজের ফাঁকে সময় পেলেই এ কাজে বসে পড়েন তিনি। দিনের কয়েক ঘন্টা কাজের বিনিময়ে প্রতি মাসে বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জন হচ্ছে তার।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার বসবাস করেন। এসব পরিবারের অধিকাংশ নারীই সংসারের বাড়তি আয়ের জন্য কাপড়ে ফুল তোলা, পাথর বসানো ও নকশী কাঁথার কাজসহ অন্যান্য কাজকর্ম করছেন। এই কাজ করে দৈনিক কয়েক শত টাকা আয় করতে পারছেন তারা। তাদের কাছে এসব কাজের অর্ডার নিয়ে ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন। কাজ শেষ হলেই পাইকারার এসব পোষাক দেশের বিভিন্ন আধুনিক শপিংমলে বিক্রির জন্য নিয়ে যান।

প্রিন্ট নিউজ