প্রিন্ট এর তারিখঃ ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:২১ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ৩০ এপ্রিল, ২০২১

চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়তে পারে

চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়তে পারে

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থাকায় চলমান বিধিনিষেধের (লকডাউন) সময়সীমা ৫ মের পরে আরও বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। শুধু সরকার সংশ্লিষ্টরা নয়, লকডাউন তুলে না নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও তাগিদ দিচ্ছেন। তবে কৌশল পরিবর্তন হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, চলমান লকডাউন শেষ হবে আগামী ৫ মে রাত ১২টায়। ৫ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে তিনটি। এগুলো হচ্ছে ৬ মে (বৃহস্পতিবার), ৯ মে (রবিবার) ও ১১ মে (মঙ্গলবার)। এরমধ্যে ৭ ও ৮ মে হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এরপর ১০ মে সোমবার শবে কদরের ছুটি। আগামী ১২ মে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তাহলে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে’ও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে। সেক্ষেত্রে ১৫ মে’ও শনিবারও ছুটি থাকবে।

ভারতে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বিধায় সে দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশ, স্থল ও নৌ সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে দেশে সংক্রমণের হারও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। সংক্রমণের হার কমার এই শুরুটা ধরে রাখতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। তখন আর কোনও লকডাউনে কাজ হবে না বলে মনে করেন সরকার সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও কিছু দিন বাড়িয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এবার সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সেক্ষেত্রে কৌশল কী হবে তা নিয়েও শলাপরামর্শ হচ্ছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা এখনও ঝুঁকিতে রয়েছি। কবে নাগাদ ঝুঁকিমুক্ত হবো তা নিশ্চিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু স্বাভাবিক করে দেওয়া কতখানি যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কোনও কিছুই চূড়ান্ত করা হয়নি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। ভারতের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের করণীয় ঠিক করতে হবে। মানুষের সংক্রমণ ও মৃত্যু তো ঠেকাতে হবে।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস থাকায় লকডাউন তুলে দেয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে ১৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়তে পারে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হতে পারে। তবে যাই হোক সেই সিদ্ধান্ত ৫ মে’র আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত হবে।

 

/ভো

প্রিন্ট নিউজ