প্রিন্ট এর তারিখঃ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

সিরাজদিখানে দোকান ভাংচুর-মারধর ও লুট থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের একদিন পরেই আপোষ

দোকান ভাংচুর-মারধর ও লুট থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের একদিন পরেই আপোষ

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা-শ্রীনগর সড়কের চালতাতলা নামক স্থানে অবস্থিত একটি ডেকরেটর দোকান ভাংচুর করে দোকানে থাকা নগদ অর্থ লুট ও কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার প্রথমে বিকাল সাড়ে ৫ টায় এবং পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে। দলবল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দোকানে অনধিকারে প্রবেশ করে কর্মচারীর উপর হামলা ও দোকানের মালামাল ভাংচুরসহ নগদ অর্থ লুট করা হয়েছে বলে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।  এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে তাদের একজনকে মারধর করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তোলেন। অন্যদিকে ঘটনার পরদিন সকালে উভয় পক্ষের লোক বিষয়টি আপোষ মিমাংসার সিদ্ধান্ত নেয়। একই দিন ঘটনার বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য উভয় পক্ষের লোকজন সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

ডেকোরেটর দোকান মালিক ভুক্তভোগী গফুর হাওলাদার বলেন, বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে কুসুমপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন জনৈক জব্বারের দোকানের সামনে আমার দোকানের কর্মচারী রবিউল শেখের কাছে ইছাপুরা গ্রামের জয়নাল দেওয়ানের ছেলে শুভ দেওয়ান ও মিলন দেওয়ান ডেগ ভাড়া চায়। রবিউল তাদের বলে ছোট ডেগ আছে বড় ডেগ সব কাজে লাগানো এখন বড় ডেগ দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে পশ্চিম ইছাপুরা গ্রামের মিলন দেওয়ানের নেতৃত্বে শুভ দেওয়ান, উজ্জল দেওয়ান,খালেক দেওয়ানসহ ১৫-২০ জনে আমার দোকানে ঢুকে ভাংচুর করে। এ সময় দোকানের আরেক কর্মচারী ইমন দেওয়ান বাঁধা দিলে তারা তাকেও মারধর করে। দোকানের ক্যাশ বাক্সে  ৯৫ হাজার টাকা ছিলো সে টাকাগুলো তারা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, আমরা চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম এমন সময় ১৫-২০ জন হাতে লাঠি সোটা নিয়ে গফুরের দোকানে হামলা করে। ওরা তার দোকানের কর্মচারিকে মারধর করে। জয়নাল দেওয়ানের ছেলে মিলন দেওয়ান বিজিবিতে চাকরি করে বলে এলাকায় মানুষকে তারা মানুষ মনে করেনা। এলাকায় সব কিছুতেই তারা প্রভাব খাটিয়ে চলে। প্রতিবার ছুটিতে আসলেই ও কারো না কারো সাথে ঝামেলা লাগিয়ে রাখে। আজ নিরহ ছেলেটাকে খুব মারছে তারা। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিলন দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাওকে মারিনি আমার ছোট ভাই শুভ, গফুর ভাইয়ের দোকানের এক কর্মচারিকে একটা থাপ্পড় দিয়েছে। পরে তারা ২০/২৫ জন মিলে ব্রীজের উপর আমার ছোট ভাইকে মারছে। আমি দোকানে কোন হামলা করতে যাইনি।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম জালাল উদ্দিন জানান, উভয় পক্ষের লোকজন লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রিন্ট নিউজ