প্রিন্ট এর তারিখঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:১৭ পূর্বাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

রাণীশংকৈলে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন

প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ঘনস্যামপুর কালিতলা ঘাট কুলিক নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে । ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা ঘনশ্যামপুর কালী মন্দির এলাকায় প্রায় এক লক্ষ টাকা মূল্যের বালু উত্তোলন করে জমিয়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ঐ এলাকার এক প্রভাবশালী ভাটা মালিক ও বালু ব্যবসায়ী নুর-নবী রাতের আধাঁরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এ বালু উত্তোলন করেছেন। আবার ভোর রাতে মেশিন সরিয়ে রাখেন। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে কুলিক নদীর বালু উত্তোলন করছেন নুরনবী।

এ সময় নদীতে মাছ ধরতে আসা হেমন্ত রায় ও দীপঙ্কর রায় অভিযোগ করে বলেন নুরনবী দীর্ঘদিন থেকে এই নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেইসাথে নিজ ভাটার বালুর চাহিদা মিটিয়ে প্রতিগাড়ি বালু ৯০০ টাকায় বিক্রি করছেন। দেখা গেছে বালু তোলার কারণে নদীর আরেক পাশে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান ঘাটটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এছাড়াও বিভিন্ন বালু ব্যবসায়ী কুলিক নদীর বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর অনেক জায়গায় গভীর গর্ত হয়ে গেছে। এর ফলে এসব স্থানে কয়েকজন জলডুবি হয়ে মৃত্য বরণও করেছেন বলে এলাকার এক মুরুব্বী জানান।

এ দিকে বালু ব্যবসায়ী নুরনবীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন এই বালুটি আমার আগের তোলা। তবে স্থানীয়রা বলছেন তিনি প্রতিনিয়ত এই নদী থেকেই বালু উত্তোলন করেছেন।

রানীশংকৈল উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) অমিত সাহা বলেন নদী থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করে থাকলে সরকারি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রিন্ট নিউজ