প্রিন্ট এর তারিখঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:২৪ অপরাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

দৈনিক আলোকিত সকাল সফলতার সাথে ৩ বছরে পদার্পণ

লাখো মানুষের মন জয় করে ৩ বছরে পদার্পণ করল দৈনিক আলোকিত সকাল। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর মতিঝিলে দৈনিক আলোকিত সকালের নিজস্ব ভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাঠকদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার কোনো সীমা নেই। সবার সহযোগিতা আর অংশ গ্রহণেই ‘দৈনিক আলোকিত সকাল’ সমগ্র বাংলাদেশ এবং দেশের বাহিরে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ২ বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অবদান রেখেছে দৈনিক আলোকিত সকাল। দেশ ও দেশের বাইরে প্রসার ঘটাতে পেরেছে দৈনিক আলোকিত সকাল।

তিনি বলেন, দৈনিক আলোকিত সকালের গ্রাহকের চাহিদাও বেড়েছে। লেখক, পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শিল্পী-

কলাকুশলীদের কাছে দৈনিক আলোকিত সকাল জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় দৈনিক আলোকিত সকালের এ গৌরব অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আজকের এ বিশেষ মুহূর্তে দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার পক্ষ থেকে পত্রিকাটির শুভ জন্মদিনে পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা, সাংবাদিক, প্রতিনিধি, সুধীজনসহ সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। আপনাদের সবার সহযোগিতায় দৈনিক আলোকিত সকাল আজ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে পাঠক প্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে ।

সম্পাদক বলেন, পত্রিকার অনুমোদন পাওয়ার পর ১৬ অক্টোবর ২০১৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত দৈনিক আলোকিত সকাল প্রকাশ করে আসছে। পত্রিকাটি প্রকাশনার খুব অল্প সময়ে ১২ জুলাই ২০১৮ সালে দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করা হয়।ফলে দেশ-বিদেশ থেকে প্রবাসীরা দৈনিক আলোকিত সকাল দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। আমাদের মুদ্রণ সংখ্যা আজও কমেনি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে দিন দিন। আমরা পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে সব সময় সচেষ্ট থাকি। আমরা পরিবর্তনের সহযোগী হব। আমরা গণতন্ত্র আর মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের মূল্যবোধকে ধারণ করব। নারী-শিশুর অধিকার ও সংখ্যালঘু অধিকারের জন্যে জোরালো ভূমিকা রাখব। সে লক্ষ্যে আমরা অবিচল রয়েছি এবং আগামীতেও থাকবো।

তিনি আরও বলেন, একটি দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিন পাঠকদের সামনে হাজির হয় পরীক্ষার্থীর মতো, বলা যায় নির্বাচনের প্রার্থীর মতোও। প্রতিদিনই তার ভোটের দিন। কেননা পাঠকেরা সিদ্ধান্ত নেন, এটা পাস করল, নাকি ফেল করল। আপনার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে ওই পত্রিকা আজ হোক কাল হোক, আপনি আর হয়তো পড়বে না। আমরা এ কথা ভেবে আপ্লুত বোধ করি যে, দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকা সংখ্যা প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। আমাদের মুদ্রণ সংখ্যা কমেনি। এরই মধ্যে আমরা সারা বাংলাদেশেই মাইল ফলক অতিক্রম করেছি। শুধু প্রচার সংখ্যাই একমাত্র নয়। দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকা প্রতি আপনাদের ভালোবাসার প্রমাণ আমরা নিত্যদিন নানাভাবে পাই। ভালো কাজ করতে গিয়ে কোনো

বাধার সম্মুখীন হলে উদ্যোগী মানুষ আওয়াজ তোলে-বদলে যাও বদলে দাও। বলেন, পরিবর্তন হবেই। আর তাঁরা আমাদেরও বলেন, আপনারাও বদলান, ইতিবাচকভাবে বদলান, ভালো থেকে আরও ভালো হোন, তা হলে দেশটাও ভালো থেকে আরও ভালোর দিকে এগোবে। দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার প্রতি আপনাদের এই ভালোবাসার উৎস কী?

আমরা কখনো হয়তো কাগজ-কলম নিয়ে হিসেব করতে বসিনি। কিন্তু আমরা জানি, আজ থেকে ২ বছর আগের দিনটি থেকেই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একেবারে পরিষ্কার। আমরা স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা করব। আমরা

কোনো দলের মুখপাত্র হব না, জনগণের পক্ষে কোনো সত্য উচ্চারণে শঙ্কিত হব না। আমরা পেশাদারি দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে সব সময় সচেষ্ট থাকব। আমরা পরিবর্তনের সহযোগী হব। আমরা গণতন্ত্র আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মূল্যবোধকে ধারণ করব। নারী-শিশুর অধিকার, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু অধিকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখব। সে সব লক্ষ্যে

আমরা অবিচল রয়েছি। আমরা চেয়েছি পারিবারিক কাগজ হতে। আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে উঠতে।

আমরা তাই এমন কিছু প্রকাশ করি না, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক মূল্যবোধে আঘাত হানে। আবার বাড়ির ছোট্ট শিশুটি থেকে গৃহিণী, কর্মজীবী নারী থেকে প্রবীণতম সদস্যের চাহিদা যেন এ কাগজের মাধ্যমে মেটানো যায়।

প্রিন্ট নিউজ