প্রিন্ট এর তারিখঃ ০৪ মে, ২০২৪ ২১:৩৬ অপরাহ্ন || প্রকাশের তারিখঃ ২৫ জুলাই, ২০১৯

বসুন্ধরা কিংসে উৎসব চলছে

রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই বসুন্ধরা কিংসের উৎসব শুরু। ক্লাবের পতাকা নিয়ে মাঠে ঢুকে গেল এক দল সমর্থক। কোচ-খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের অভিষেকেই শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে উঠলেন তারা। দুই ম্যাচ হাতে রেখে আজ (বৃহস্পতিবার) নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে মোহামেডানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে উৎসবের উপলক্ষটা তৈরি করেছে অস্কার ব্রুজনের দল।

লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে আগামী বছর এএফসি কাপে খেলার সুযোগও পেল বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ কোচ ব্রুজন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দলের এই সাফল্যে আমি আপ্লুত। আমি খুশি, কারণ এটা খুবই কঠিন ও দীর্ঘ পথ ছিল। কিংসের একটা যাত্রা শুরু হলো। আমরা কেবল একটি শিরোপায় তৃপ্ত হতে চাই না। ক্লাব চায় পরের মৌসুমে সবকটি শিরোপা জিততে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাফল্যও। তবে এখন সময় শুধুই উদযাপনের।’

 

গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো প্রথমবার লিগ শিরোপার স্বাদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত, ‘দলের মতো আমিও প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপার স্বাদ পেলাম। সত্যি এই অনুভূতি বলে বোঝানোর নয়। নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি দলকে সাহায্য করতে। পুরো মৌসুম জুড়ে এই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম।’

ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিমও পেলেন প্রথম শিরোপার স্বাদ। ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই ফুটবলার বললেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি ক্লাবের কাছে কৃতজ্ঞ। কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য সবকিছুই করেছে। কোনও কিছুতে কমতি রাখেনি। আমাদের পরিশ্রম সফল হওয়াতে খুব ভালো লাগছে।’

মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট ‍এর আগে আবাহনীর হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন। এবার কিংসের হয়ে জেতার আনন্দ তার কাছে অন্যরকম, ‘শিরোপা সবসময়ই আনন্দের। এই ক্লাব ফুটবল এবং ফুটবলারদের জন্য অনেক কিছু করছে। আমাদের কোনও চাওয়াই অপূর্ণ রাখেনি। তাই এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল তাদের শিরোপা এনে দেওয়া। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।’

আরেক মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনি নিজেদের হোম ভেন্যুতে শিরোপা জেতায় ভীষণ খুশি, ‘এই প্রথম কোনও ক্লাবের হয়ে লিগ শিরোপা জিতলাম। মাঠে আমরা অনেক আনন্দ করেছি। আসলে আমরা শিরোপাটা আগেই পেতে পারতাম। কিন্তু রাসেলের সঙ্গে হেরে সেটা হয়নি। এটা একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে যে, আমরা নিজেদের হোম ভেন্যুতে এসে শিরোপা উৎসবটা করতে পেরেছি।’

প্রিন্ট নিউজ